মুলাদী প্রতিনিধিঃ
গতকাল বিকাল ৫ টায় মুলাদী প্রেসক্লাস হল রুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বরিশাল-৩, ১২১(মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জাতীয়তাবাদী গনতান্ত্রিক আন্দোলন এর সহ-সভাপতি এনায়েত কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান হিরা, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী গনতান্ত্রিক ছাত্র
আন্দোলনের সচিব মোঃ মাসুদুর রানা জুয়েল, মুলাদী উপজেলা আহবায়ক ইউপি সদস্য মোঃ হানিফ, মোঃ ফারুক বেপারী, মোঃসবুজ সরদার, মোঃ জাহাঙ্গীর আকন, মোঃ মাসুম ভুইয়া, মোঃআমানুল্লাহ, সাব্বির শেখ প্রমুখ। সাংবাদিক সম্মেলনে এনায়েত কবির জানান জাতীয়তাবাদী গনতান্ত্রিক আন্দোলন জবাবদিহি মুলক একটি রাজনৈতিক দল। সীমান্ত হত্যা বন্ধকরা হয়নি, বাংলাদেশে ২টি
ডিসি পোর্ট করলে প্রতি মাসে ১টি পদ্মাসেতু করা সম্ভব হতো। সরকারী তা করছে না। আইনের ব্যাপারে প্রধান বিচারপ্রতি বলেন এক রকম আইন মন্ত্রী বলেন অন্য রকম, আমরা সংসদে আসলে সুসম উন্নয়ন করব। তিনি আরও জানান এম.পি ও ২ উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে সহযোগিতা করলে আড়িয়াল খাঁ নদীতে বাবুগঞ্জ মুলাদী সেতু ৩ মাসের মধ্যে শুরু করা সম্ভব, তিনি আরও জানান জয়ন্ত্রী নদীতে মৃধারহাট ও গোসাইর হাট এ সেতু করা আমার স্বপ্ন। রাজনৈতিতে সাধারণ মানুষদের মূখে অনেক কথা বলে কাজে তা করেন না। আমার এ দলের নিয়ম নীতি সম্পূন্ন আলাদা। যাহা বলব তাহা করব। এ সাংবাদিক সম্মেলনের পূর্বে মৃধারহাট নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরির্দশন করতে

গিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ ও চরকালেখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মোহসীন উদ্দীন খান কে প্রদান করেন।

মুলাদী প্রতিনিধিঃ

গতকাল ০৩/০৮/২০১৭ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মুলাদী উপজেলার চরপদ্মা আফছারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটগ্রহন
শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেছেন। ৬৪১ ভোটের মধ্যে ৫৮০ ভোট কাস্ট হয়েছে। নির্বাচিত হয়েছে রুহুল আমিন(ফারুক সিকদার) রিপন নলী,
নান্নু সিকদার ও সহিদুল ইসলাম ৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল, রিটানিং অফিসার এর দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাধারণত এক ধরণের অণুজীব যারা মানুষসহ অন্যান্য পশু-পাখি ও উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী তাদের ভাইরাস বলা হলেও এরা কিন্তু আমাদের আজকের টপিক নয়! এখানে আমরা যে ভাইরাসের কথা বলছি তা সমস্যা তৈরি করে কম্পিউটার, মোবাইলফোনসহ এধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির। এদের আরেক নাম কম্পিউটার ভাইরাস।
ভাইরাস (VIRUS – Vital Information Resources Under Siege) হচ্ছে কম্পিউটার বা এ ধরণের ডিভাইসের জন্য ক্ষতিকর একধরণের প্রোগ্রাম যা অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে সেগুলোকে পরিবর্তিত বা ধ্বংসাত্মক করে তুলতে পারে।
সহজ কথায় আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনটিতে বিভিন্ন কাজ করতে ও বিনোদন পেতে আপনি যেসব প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন, ভাইরাসও তেমনি একটি প্রোগ্রাম। পার্থক্য এই যে ওই প্রোগ্রামগুলো বানানো হয়েছে আপনার জীবনযাত্রা সহজ করতে আর সেগুলো চলে আপনারই কমান্ডে। কিন্তু, ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের সংস্পর্শে আসে গোপনে আর এসে কাজ শুরু করার জন্যও কারো অনুমতি বা নির্দেশের তোয়াক্কা করে না। এরা চান্স পাওয়ামাত্র নিজে নিজেই কাজ শুরু করে দেয়। অবশ্য, এটাকে কাজ না বলে ‘ধ্বংসলীলা’ বলাই ভালো।

ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে কিংবা অন্য কোনোভাবে ভাইরাস একবার আপনার ডিভাইসের সংস্পর্শে এলে তা শুধু অনুপ্রবেশ করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং নিজ থেকে কপি হতে হতে এর হাজারো কপি ছড়িয়ে দেয় আপনার প্রতিটি ফাইলে, ফোল্ডারে ও ড্রাইভে।
এসময় আপনি যদি কোনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকেন অথবা আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে কোনো ফাইল সিডি, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ডসহ ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ইমেইল বা ইন্টারনেটের অন্য কোনো মাধ্যমে আরেকটি ডিভাইসে পাঠান তাহলে সেটিও ভাইরাস সংক্রমিত হবে।
ভাইরাসের দ্বারা সংঘটিত বড় ক্ষতির ক্ষেত্রে যে কোনো ফাইল নিজের মতো করে এডিট করা, মুছে ফেলা থেকে শুরু করে হার্ড ডিস্ক রি-রাইট পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়াও কিছু ভাইরাস আছে যারা ফাইল পরিবর্তন না করলেও উদ্ভট তথ্য, অডিও বা ভিডিও বার্তা দেখায়। এদের আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হয় না, কিন্তু এরাও প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ফাইলের জায়গা দখল করে যা পরবর্তীতে ঘটায় সিস্টেম ক্র্যাশ বা মেমোরি লস্টের মতো বড় সমস্যা।
টুকিটাকি
•    কম্পিউটার ভাইরাসের তাত্ত্বিক ধারণা প্রথম দেন আমেরিকান গণিতবিদ জন নিউম্যান।
•    প্রথম কম্পিউটার ভাইরাসের নাম ছিল এল্ক কনার। ১৯৮২ সালে রিচার্ড স্কেন্টা নামে ১৫-বছরের এক আমেরিকান কিশোর এটি একটি অ্যাপল-২ কম্পিউটার থেকে তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল।
ভাইরাস কী – তা তো জানা হলো, এবার আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আছে কি না… তা জানার পালা, না থাকলে তো নিশ্চিন্ত হয়েই গেলেন কিন্তু থাকলে সেগুলো যেভাবে তাড়াবেন – তাও থাকবে পরবর্তী পোস্টে!


এক বছরের মাথায় ওরাকল স্পার্ক টি৪ সার্ভারের ব্যবহার বেড়েছে ৪ গুণ। আজ বিশ্বের অন্যতম মার্কিন সফ্টওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরাকল এক ঘোষণায় এ কথা জানায়। এই সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সোলারিস পাওয়ার মিশন সংক্রান্ত জটিলতম কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে।

আর্থিক সেবা খাত, টেলিযোগাযোগ, সরকারি খাত, খুচরা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ধরনের কারখানাতেই এই সার্ভার ব্যবহার করা যায়।

এই সার্ভার সম্পর্কে ওরাকলের এশিয়া প্যাসেফিক ও জাপান অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আদ্রিয়ান জোনস বলেন, এই সার্ভার পারফরমেন্স, স্ক্যালেবিলিটি ও সিকিউরিটির দারুন এক সমন্বয়। এ কারনেই মাত্র এক বছরে এর ব্যবহার বেড়েছে চার গুণ। এতে আগের ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন খুব সহজে ইন্সটল করা যায় বলে গ্রাহকদের কাছেও এর গ্রহন যোগ্যতা অনেক। ভবিষ্যতে সারা বিশ্বেই এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলে জানান তিনি ।

এর আগে বেশ কয়েকবারই বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন সোফিয়া হায়াত। যদিও ক্রিকেটার রোহিত শর্মার সঙ্গে প্রেম করার কারণে ‘লাইমলাইটে’ আসেন তিনি। তারপর ‘বিগ বস’ এ এসে অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে ঝগড়া এবং নোংরা ভাষা ব্যবহার করে আরো একটু সামনে আসেন। তবে এবার নিজেকে খোলামেলাভাবে সবার সামনে এনে খবরের শিরোনাম হলেন। তাও আবার ভারতে পর্নো বন্ধের প্রতিবাদ করতে গিয়ে।

কিছুদিন আগে সরকার থেকে নির্দেশ আসে পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করে দেয়ার। এর বিরুদ্ধে সোনম কাপুর‚ কবীর খান এবং ইমরান খানের মতো বহু সেলিব্রিটি সোচ্চার হন। পিছিয়ে নেই সোফিয়াও। তবে উনি অন্যদের থেকে আর একটু এগিয়ে। পর্নো বন্ধের প্রতিবাদে টুইটারে নিজের একটা নগ্ন ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবির নিচে সোফিয়া লিখেন, ‘পর্নো বন্ধের জন্য আমি দুঃখিত। তাই তোমরা যাতে একটু বেটার ফিল করো তার জন্য এই ছবিটা পোস্ট করলাম।’
সবাই সোফিয়ার এ ছবি দেখে তো অবাক। এটা কি করে হয়? আসলেই কি এটা সোফিয়া? অথচ তিনি নিজেই কিছুদিন আগে পর্নো নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন।
এক টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি সেনসুয়ালিটি প্রমোট করি‚ যা একজন নারীর শক্তি। আপনাদের যদি পর্নো চাই তাহলে দয়া করে সানি লিওনের কাছে যান।’
যদিও নগ্ন হওয়ার ঘটনা সোফিয়ার এই প্রথম নয়, এর আগেও নিজের শরীর উন্মুক্ত করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। আবার সেই ছবি পোস্টও করেছেন টুইটারে। এমনকি সার্চ ইঞ্জিনে তার নাম লিকে ক্লিক করলে একটা ভালো ছবি পাওয়াও দুষ্কর।

বিদেশের প্রায় সব বড় পর্নোগ্রাফিক ওযেবসাইট ব্লক করে দিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রেড টিউব, ব্যাং ব্রাদার্স ডট কম, পর্ন হাব-এর মত পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।

এই সব ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করে দেয়ার জন্য দেশটির সব বড় বড় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্সদের (আইএসপি) নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার। যার ফলে ভোডাফোন, এমটিএনএল, এসিটি, হ্যাথওয়ে ও বিএসএনএল’র মতো বড় বড় আইসপির গ্রাহকরা এ সব সাইটে আর ঢুকতে পারছেন না।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সূত্রে জানা যায়, এরপর সেখানে সমস্ত ধরনের পর্ন সাইট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। পর্ন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে গত মাসেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল ভারতে পর্ন-সাইট নিষিদ্ধ করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এইচ এল ডাট্টু জানিয়েছিলেন, কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি ঘরে বসে পর্ন সাইট ভিজিট করেন, তাঁকে ঠেকানোর উপায় নেই। জোর করে তাঁকে আটকানো মানে আর্টিকেল ২১-এর অবমাননা করা।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথম বারের মতো আয়োজিত বিপিও সামিট ২০১৫ শেষ হলো। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুই দিনের এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সিএক্সও নাইট এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নহীন বা গন্তব্যহীন জাতি কোনো দিন ভালো করতে পারে না। বর্তমান সরকার আইসিটি খাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ অন্তত দুটো ক্ষেত্রে বিশে^ এক নম্বর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, একটি হলো ক্রিকেট আরেকটি হলো আইসিটি। সরকার আইসিটি খাতে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলছে। আমি স্বপ্ন দেখি অল্প দিনের মধ্যেই আমরা বাংলাদেশ থেকে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগলের মতো তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারবো। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণদের প্রযুক্তিক্ষেত্রে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তরুণরা এগিয়ে না আসলে দেশ এগিয়ে যাবে না। তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার ছেলে মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। চাকরি প্রত্যাশিতদের আইটিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকার ১ কোটি মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে চায় বলেন জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাক্য সভাপতি আহমাদুল হক।
দুই দিনের এ আয়োজনে ১০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও কার্যক্রম প্রদর্শন করেছে। আয়োজন সম্পর্কে আইএসএসএল’র ম্যানেজার (বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ) নূর হোসেন বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা কলসেন্টার কাস্টমাইজ, কলসেন্টার সার্পোট, টেলি সার্ভিস, টেলি মার্কেটিংসহ বিভিন্ন সেবার কথা তুলে ধরছি। প্রতি বছর এ রকম আয়োজন করা উচিত। ফাইবার অ্যাট হোম’র ম্যানেজার (ব্যবসা উন্নয়ন) রেহেনা জাকিয়া বলেন, সারা দেশে আমরা ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিপিও সেক্টরকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
সেমিনারে অংশ নিতে আসা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইমন জাকারিয়ার বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি বিপিও সেক্টরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এই আয়োজনে এসে বিপিও সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছি। যা ভবিষ্যতে কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার বলেন, বিপিও সামিটে এসে এই খাতে কাজ করার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি এই খাতে কাজ করলে ভালো করতে পারবো।
আয়োজন সম্পর্কে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর সভাপতি আহমাদুল হক বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বিপিও সেক্টর থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা, দেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশী বিপিও সেক্টর সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা দেওয়া, বাংলাদেশে বিপিও সেক্টরে সাফল্যের গল্পগুলো বিশ্ববাসীকে জানানো এবং দেশের তরুণ সমাজের কাছে এই সেক্টরকে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের বিপিও খাতকে এগিয়ে নিতে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আয়োজন। প্রথম বারের মতো এ আয়োজনে এক্ষেত্রে আমরা বেশ সফল হয়েছি বলে আমি মনে করি। এখন থেকে নিয়মিতভাবে আমরা এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজন অব্যাহত রাখবো। ইতোমধ্যে আগামী বছরের বিপিও সামিটের সম্ভাব্য পরিকল্পনাও শুরু করেছি আমরা।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী বিপিও সামিট ২০১৫ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) এর  সভাপতি সান্তিয়াগো গুতিয়ারেজ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ ও বাক্য সভাপতি আহমাদুল হক।
উদ্বোধনী দিনে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল অ্যান্ড অপারেশনাল রেডিনেস’, ‘এন্টারপ্রেইনারশিপ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’, ‘কানেক্টিং স্টার্টআপস বাংলাদেশ: নারচারিং দ্যা ফিউচার’, ‘ফিউচার চ্যালেঞ্জেস অফ আইসিটি ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রান্সফরমেশন অফ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ ও ‘দ্যা অপরচুনেটিজ অফ আউটসোর্সিং ক্লায়েন্ট সার্ভিসেস ফ্রম আইটি পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শেষ দিন অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ টু ড্রাইভ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’, ‘গ্লোবাল বিপিও ইন্ডাস্ট্রি বেস্ট প্রাক্টিসেস’, ‘দ্যা অপরচুনেটিজ ইন দ্যা ডোমেস্টিক মার্কেট ফর আউটসোর্সিং’, ‘অপরচুনেটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ইন ব্যাংকিং আউটসোর্সিং’, ‘রোল অফ হায়ার এডুকেশন ইন্সিটিউশনস ফর বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ এবং ‘কানেক্টিং উইথ আনট্যাপড স্কিলস: পলিটেকটিক, ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল’ শীর্ষক সেমিনার।
সেমিনারে বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিদ্যুৎ, জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম,  বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক ফাদিয়া খান, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানী অগমেডিক্স এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন) শ্রী দয়া সিং, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফাইবার এট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক সিদ্দীকি, বিসিসি এর পরিচালক (ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার) তারিক বরকতুল্লাহ, ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ মান্নান খান, আরএসএ এডভাইজারি লিমিটেডের চেয়ারম্যান কে মাহমুদ সাত্তার, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান ইমাম, প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারসের পার্টনার মামুনুর রশিদ, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন, বেসিস এর সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিডিজবস ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ এইচ কাফী, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সাবেক সভাপতি ও বিজনেস ইনেশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ইনস্টিটিউট অফ কনফ্লিক্ট, ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইসিএলডিএস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আব্দুর রশিদ, অস্ট্রেলিয়ান বিপিও অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল প্রোপার্টি ম্যানেজার এর পরিচালক মার্টিন এন কনবয়, শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিএনসি ডাটা এলএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালখ রাজমোহন ভি, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন এর হেড অফ আইটি ড. ইজাজুল হক, গ্রাফিক পিপল এর পরিচালক (আইটি) রাজিব তরফদার, ড্যাফোডিল বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, বাক্য সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া কবির বশির, একসেন্সারের সাবেক চেয়ারম্যান ক্লাইডি উন্নো, আমরা কোম্পানীজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকউন্টস (আইএফএসি) এর সিইও ফায়েজুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার এ আনোয়ার, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনায আহমেদ নুর প্রমুখ।
সম্মেলনের সহযোগী হিসাবে ছিলো প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি)। আয়োজনে গোল্ড স্পন্সর হিসাবে ছিলো এডিএন গ্রুপ, জিনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। সিলভার স্পন্সর সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড, সিসকো সিস্টেমস, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, টেলিটক, এয়ারটেল এবং আইটি পার্টনার আমরা কোম্পানীজ ও নেটওয়ার্ক পার্টনার ফাইবার এট হোম।
দেশের প্রথম এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত ছিলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।



নিখোঁজের ১৫ দিন পর বরিশালের মুলাদী উপজেলার ছবিপুর ইউনিয়নের খৌলারচরসংলগ্ন জয়ন্তী নদীতে ভাসছে ফারজানা (১৩) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর মরদেহ। তবে জোয়ারের কারণে মরদেহটি রাতে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।  

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে থাকা মুলাদী থানার এসআই কমল চন্দ্র দে জানান, গত ৩০ জুন খৌলারচর এলকার শহীদ কাজীর মেয়ে পূর্ব চরপদ্মা দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা নিখোঁজ হয়। শনিবার রাতে ছাত্রীর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জয়ন্তী নদীর তীরে পাট খেতের মধ্যে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। ওড়না দেখে স্বজনরা এটি ফারজানার মরদেহ বলে শনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
তিনি আরো জানান, পচে গলে মৃতদেহের হাড় ছাড়া কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই। হিংস্র কোনো প্রাণী মৃতদেহটি নিয়ে টানাহেঁচড়া করেছে। পানির মধ্যে অনেকটা জায়গাজুড়ে মরদেহের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জোয়ারের কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতের বেলা মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। আজ রবিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধারে ফের তৎপরতা চালানো হবে।

সাধারণ তথ্যাদি

জেলা বরিশাল
উপজেলা মুলাদী
সীমানা উত্তরে কালকিনি ওগোসাইরহাটউপজেলা, পূর্বে হিজলা ওমেহেনিগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে বাবুগঞ্জ উপজেলা।
জেলা সদর হতে দূরত্ব ৩৫ কি:মি:
আয়তন  ২৩৫.৫ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা ১,৭৪,৭৭৫ জন (আদমশুমারী-২০১১ অনুযায়ী)
 পুরুষ৮২,৫৪৫ জন
 মহিলা৯২,২৩০ জন
লোক সংখ্যার ঘনত্ব ৭৫৮.২৪ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)
মোট ভোটার সংখ্যা ১,২৩,২৩৭ জন
 পুরুষভোটার সংখ্যা৬১,৩৬৭ জন
 মহিলা ভোটার সংখ্যা৬১,৮৭০ জন
বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%
মোট পরিবার(খানা) ৩৮৩৯৪ টি
নির্বাচনী এলাকা বরিশাল৩-(মুলাদী-বাবুগঞ্জ)
গ্রাম ১১০টি
মৌজা ৯৮ টি
ইউনিয়ন ০৭ টি
পৌরসভা ০১ টি
   
এতিমখানা ১৭ টি
মসজিদ ৫৫০ টি
মন্দির ১৫ টি
নদ-নদী ৩টি (আড়িয়ালখা,জয়ন্তী,নয়ভাঙণী ন)
হাট-বাজার ৩২ টি
ব্যাংক শাখা ০৮ টি
পোস্ট অফিস/সাব পোঃ অফিস ২৪ টি
টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ০১ টি
   
   

কৃষি সংক্রান্ত
মোট জমির পরিমাণ ৫৬,৯৩৪ একর
নীট ফসলী জমি ৩৭,৮০০ একর
মোট ফসলী জমি ৮১,৩১০ একর
এক ফসলী জমি ৬৫৮০ একর
দুই ফসলী জমি ২২৬২০ একর
তিন ফসলী জমি ৮৬০০ একর
গভীর নলকূপ ৬৮৩ টি
অ-গভীর নলকূপ ৩,৯২৩ টি
শক্তি চালিত পাম্প ২০৫ টি ( হিসাব-২০১৩)
ব্লক সংখ্যা ১৭ টি
বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা ৩১,১০৫ মেঃ টন
   

শিক্ষা সংক্রান্ত
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৩২ টি
বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০২ টি
   
জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ০৬ টি
উচ্চ বিদ্যালয়(সহশিক্ষা ২৯ টি
উচ্চ বিদ্যালয়(বালিকা) ২ টি
দাখিল মাদ্রাসা ১২ টি
আলিম মাদ্রাসা ৩টি
ফাজিল মাদ্রাসা ০৪ টি
   
কলেজ(সহপাঠ) ০৮ টি
কলেজ(বালিকা) ০১ টি
শিক্ষার হার ৫৬%
 পুরুষ৫৬.১%
 মহিলা৫৫.৯%

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০১ টি
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১৬ টি
বেডের সংখ্যা ৫০ টি
ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা ৩৭ টি
কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ইউএইচসি ১৭, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৬, ইউএইচএফপিও ১টি মোট= ৩৪ টি
সিনিয়র নার্স সংখ্যা ১৫ জন। কর্মরত=১৩ জন
সহকারী নার্স সংখ্যা ০১ জন

ভূমি ও রাজস্ব সংক্রান্ত
মৌজা ৮৫ টি
ইউনিয়ন ভূমি অফিস ০৬ টি
পৌর ভূমি অফিস ০০ টি
মোট খাস জমি ২০০৬.৭৮ একর
কৃষি ২০০২.০৮ একর
অকৃষি ০৪.৭০ একর
বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি ১৪.৭১ একর (কৃষি)
বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর(দাবী) সাধারণ=৩৮,৬০,২৮০/-
সংস্থা = ১,৮৮,০৪,৭৪৭/-
বাৎসরিক ভূমি উন্নয়ন কর(আদায়) সাধারণ=২৭,৩১২/- জুলাই মাসে আদায়
সংস্থা = জুলাই মাসে আদায় নেই
হাট-বাজারের সংখ্যা ৩২ টি

যোগাযোগ সংক্রান্ত
পাকা রাস্তা ৫৩.০০ কিঃমিঃ
অর্ধ পাকা রাস্তা ৫৯.০০ কিঃমিঃ
কাঁচা রাস্তা ৫৭০ কিঃমিঃ
ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা ৪৬৬ টি
নদীর সংখ্যা ০৩ টি

পরিবার পরিকল্পনা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১১ টি
পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ০১ টি
এম.সি.এইচ. ইউনিট ০১ টি
সক্ষম দম্পতির সংখ্যা ৮৪,৮৩৩ জন

মৎস্য সংক্রান্ত
পুকুরের সংখ্যা ৪,০৭৮ টি (৪১২ একর)
মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সরকারী ০১ টি
মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার বে-সরকারী ০৬ টি
বাৎসরিক মৎস্য চাহিদা ৬,১৮০ মেঃ টন
বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদন ৫,৫১৩ মেঃ টন

প্রাণি সম্পদ
উপজেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ০১ টি
পশু ডাক্তারের সংখ্যা ০২ জন
কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ০১ টি
পয়েন্টের সংখ্যা ০৩ টি
উন্নত মুরগীর খামারের সংখ্যা ১১ টি
লেয়ার ৮০০ মুরগীর উর্ধ্বে· ১০-৪৯ টি মুরগী আছে, এরূপ খামার অসংখ্য
গবাদির পশুর খামার ২২ টি
ব্রয়লার মুরগীর খামার ৯৬ টি

সমবায় সংক্রান্ত
কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি লিঃ ০১ টি
মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি লিঃ ০২ টি
ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ১৫ টি
বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ১০৯ টি
মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ ৩৭ টি
যুব সমবায় সমিতি লিঃ ১১ টি
আশ্রয়ন/আবাসন বহুমুখী সমবায় সমিতি ০৫ টি
কৃষক সমবায় সমিতি লিঃ ১২০ টি
পুরুষ বিত্তহীন সমবায় সমিতি লিঃ ০৬ টি
মহিলা বিত্তহীন সমবায় সমিতি লিঃ ০৭ টি
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ ০২ টি
অন্যান্য সমবায় সমিতি লিঃ ০৫ টি
চালক সমবায় সমিতি ৩ টি
বি:দ্র: বিস্তারিত তথ্য সমূহ নিচে দেয়া হলো:

মুলাদী উপজেলা

মুলাদী উপজেলা (বরিশাল জেলা)  আয়তন: ২৬১.০২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৪৭´ থেকে ২৩°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১৭´ থেকে ৯০°২৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে গোসাঁইরহাট উপজেলা, দক্ষিণে বরিশাল সদর উপজেলা, পূর্বে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে কালকিনি, গৌরনদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৮৩২৮৩; পুরুষ ৯২০৮৪, মহিলা ৯১১৯৯। মুসলিম ১৭৯৭৯১, হিন্দু ৩৪৭৯ এবং অন্যান্য ১৩।
জলাশয় নয়া ভাঙ্গনী, আড়িয়াল খাঁ ও খালিয়ার নদী উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন মুলাদী থানা গঠিত হয় ১৮৯৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ২৪ মার্চ ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা
পৌরসভাইউনিয়নমৌজাগ্রামজনসংখ্যাঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
শহরগ্রামশহরগ্রাম
৯৮১১০১০৮০০১৭২৪৮৩৭৩৭৬১.১৪৮.২

উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি)মৌজালোকসংখ্যাঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)শিক্ষার হার (%)
৭.১১১০৮০০১৫১৯৬১.০৬
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোডআয়তন (একর)লোকসংখ্যাশিক্ষার হার (%)
পুরুষমহিলা
কাজীর চর ৪৭১৫৩৯২১০৯১১১০৩৯৩৫২.৯৮
গাছুয়া ৩৫৭১১৮১১৬৮৫১১৯০৯৪৮.০১
চর কালেখাঁন ২৩৫১৯৩১০১৫৭১০১৮৯৪৪.৯১
নাজিরপুর ৭১৮৯৬৭১১৭৬৮১১৩৮৩৪৮.৮৯
বাটামারা ১১৭৪৭১১২২৬৬১২২৯৭৪৬.৮৪
মুলাদী ৫৯১০১৩১১৭৪৩১১৬৫০৫৫৭.১৫
সফিপুর ৮৩১০১৮৬১৭৮৬৬১৮৫২৩৪২.৯৯
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ গাছা মিয়াবাড়ীর মসজিদ, সৈয়দেরগাঁও গ্রামের প্রাচীন মসজিদ, গঙ্গাপুর গ্রামের সুলতান খার মসজিদ।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলি  মুলাদী উপজেলা এক সময় ছিল ঢাকা-জামালপুর রাজস্ব জেলার অন্তর্গত। ১৮৭৩ সাল পর্যন্ত এ জেলায় একটি মাত্র মধ্যস্বত্ব ছিল এবং ১৯০৮ সাল নাগাদ এ অঞ্চলে অনেকগুলো মধ্যস্বত্ব সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে তালুকদার ও হাওলাদার শ্রেণীই ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী মধ্যস্বত্ব। ১৯৫১ সালে জমিদারি উচ্ছেদ হলে মুলাদী থানায় একজন রাজস্ব সার্কেল অফিসার নিযুক্ত হয়। ১৯০৫ সালের বঙ্গ-ভঙ্গ আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন এবং বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে মুলাদী উপজেলার অধিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুলাদিতে পাকসেনারা নদীর দুই পাশ দিয়ে মর্টার ও মেশিনগানের গুলিতে ৪২ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধারা নন্দীল বাজারে পাকবাহিনীর গানবোট ডুবিয়ে দেওয়ায় সেখানে তারা ব্যাপক হত্যাকান্ড চালায়। কালীগঞ্জ এলাকায় সপ্তাহব্যাপী পাকবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন খাসেরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৪৪০, মন্দির ১৮, গির্জা ১, মাযার ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: কাজীবাড়ি জামে মসজিদ, আইনউদ্দিন ফকিরের মাযার, জাহেনদ্দি ফকিরের মাযার।
MuladiUpazila.jpg
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৯.০%; পুরুষ ৫০.৯%, মহিলা ৪৭.১%। কলেজ ৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৫, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৭, কিন্ডার গার্টেন ১, মাদ্রাসা ১৭। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মুলাদী কলেজ, কাজীর চর কলেজ, কাজীর চর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুলাদী জি এম বালিকা বিদ্যালয়, ভেদুরিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৯২), তয়ক-টমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৪৫), গাছুয়া পরপদ্মা সিনিয়র মাদ্রাসা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ২, থিয়েটার সংগঠন ১, খেলার মাঠ ১০, ক্লাব ১৮।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৪.৮%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ০.৮৪%, ব্যবসা ১০.৬৬%, পরিবহণ ১.০৩%, চাকরি ১০.১০%, ধর্মীয় সেবা ০.৩২%, নির্মাণ ১.৩৮%, রেন্ট ও রেমিটেন্স ২.০৭% এবং অন্যান্য ৫.৭৮%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭৭.৬৭%, ভূমিহীন ২২.৩৩%। শহরে ৫৩.৬৯% এবং গ্রামে ৭৯.১৯% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, ডাল, পান, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি পাট, অড়হর, চীনা, তামাক, সরিষা, কাউন, চীনাবাদাম, রসুন, আখ।
প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, জাম, তাল, সুপারি, নারিকেল, আমড়া, পেঁপে, লেবু।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫০, গবাদিপশু ৭, হাঁস-মুরগি ২৭।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২২ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৫০ কিমি; নৌপথ ৬৫ নটিক্যাল মাইল।
শিল্প ও কলকারখানা রাইসমিল ২৫, স’মিল ৪০, চিড়াকল ১, ডালকল ২, আটাকল ১, আইস ফ্যাক্টরি ৫, ওয়েল্ডিং কারখানা ১৬।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প ৫, তাঁতশিল্প ৭, মৃৎশিল্প ৯০, সূচিশিল্প ১৮২, বাঁশের কাজ ৬৫, কাঠের কাজ ২১২।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩৪, মেলা ৫। মুলাদী বন্দর হাট ও খাসের হাট এবং কাজীর চর আদম আলী ফকিরের মেলা, মুনসি বাড়ির মেলা ও জালালপুরের মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   পান, সুপারি, ডাল, ধান, আমড়া।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৩.৩৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯১.৩৬%, পুকুর ৩.৯৭%, ট্যাপ ০.৬৪% এবং অন্যান্য ৪.০২%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলায় ৫৮.২৩% (গ্রামে ৫৬.৬৪% এবং শহরে ৮৩.৩৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৩.৯০% (গ্রামে ৩৫.২৩% এবং শহরে ১২.৭৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৭.৮৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৬১ ও ১৯৬৫ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয় এবং আমন ধান ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, দিশা, আরডিও।  [মো. মিজানুর রহমান]
তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মুলাদী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।

 

MARI themes

Powered by Blogger.