মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী পৌরসভার পাতারচরে স্বাধীনতার অতন্ত্র প্রহরীদের স্বরণে নির্মিত বদ্ধভূমি অযতেœ-অবহেলায় পড়ে আছে, দেখার যেন কেউ নেই। ১৯৭১ সালের ২৪ জুলাই সকালের সুর্য পুর্ব দিকে উধিত হওয়ার পরপরই মুলাদীর পাতারচরে নির্মমতা ছড়িয়ে দিতে ঘর থেকে ধরে এনে নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান সহ ৩৩ জনকে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাকহানাদার বাহিনী। স্বাধীনতার সেই সুর্য শহীদ সন্তানদের স্বরনে সরকারী অর্থায়নে মুলাদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পাতারচর গ্রামে ২৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বদ্ধভূমি। ২৫মার্চ গনহত্যা দিবস সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবসে শহীদদের স্বরনে বদ্ধভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলেও বছরের বাকী দিনগুলো বদ্ধভুমিটি পড়ে থাকে অযতেœ আর অবহেলায়। বর্তমান সরকার স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রদান করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন সম্মান প্রদর্শন সহ আর্থিকভাবে সহযোগীতা করার পরেও পাক বাহিনীর নির্মমতার স্বীকার নিহত শীহদের বদ্ধভুমিতে চোখ শেলেও তাকান না মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সহ সংস্লিষ্ঠরা। গত ৯ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় বুলবুলের তান্ডবে শহীদ এ বদ্ধভুমির উপর গাছ দীর্ঘদিন পরে থাকলেও অপসারনে কোন পক্ষই এগিয়ে আসছে না। এছাড়াও বছর বিশেষ দিবস ছাড়া দেখা-শোনা না করায় যত্র-তত্রভাবে গাছের পাতা ও ময়লা আবর্জনা পরে নষ্ট হচ্ছে শহীদদের এ পূর্নভুমি। সংস্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতার সুর্য সন্তানদের এ স্থাপনাকে রক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন এমনই প্রত্যাশা স্থানীয় সচেতন মহলের। এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর এনামুল হক ইনু জানান, বদ্ধভুমিটি নির্মিত হওয়ার পরে এলজিইডি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন না করায় এবং কাউকে এর দায়ীত্বভার না দেয়ায় কেউই রক্ষনা বেক্ষনে এগিয়ে আসছেনা।


মুলাদী প্রতিনিধিঃ মুলাদীতে সহকারী শিক্ষিকা কর্তৃক সিনিয়র শিক্ষিকার উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত শিক্ষিকার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০মিনিটে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুলাদী-মীরগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক বৃন্দ। 

মানব বন্ধনে বক্তারা ৯৩নং পশ্চিম কমিশনারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মিনারা আক্তার লিপির কর্তৃক সিনিয়র শিক্ষিকা খুরশিদা আক্তারের উপর বর্বরোচিত আক্রমনের প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান। মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক নেতা এস এম কামাল পাশা, প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান আনসারী, শহিদুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, নাজনিন নাহার, রেজাউল মাওলানা, সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, মোঃ মিলন, শফিকউজ্জামান, অলিউর রহমান, জাকিয়া সুলতানা, তহমিনা, সুরাইয়া, হিরামনি, কাওসার উািদ্দন, রাবেয়া হক, মনির হোসেন, কবির হোসেন ও আবু বকর সহ বিশটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক বৃন্দ। উল্লেখ্য অভিযুক্ত শিক্ষিকা মিনারা আক্তার লিপিকে সাময়ীক বরখাস্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবহেলা এবং অভিযোগ পুজি করে উৎকোচের নেয়ার ফলে কোন ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা একাধীক পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।



ভিডিও

MARI themes

Powered by Blogger.